বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৩১ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্টঃ গত ২৮ ও ২৯ অক্টোবর দেশে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট ডাকে পরিবহন শ্রমিকরা।এসময় অ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখায় শিশু মৃত্যু ঘটনা, চালকদের মুখে মোবিল দেওয়া আরো বিভিন্ন ঘটনা সহ শ্রমিকদের উচ্ছৃঙ্খল কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নিয়েছে আইশৃঙ্খলাবাহিনী তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ধর্মঘটের নামে এসব ভয়ঙ্কর ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে সে বিষয়ে আইশৃঙ্খলাবাহিনী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
পুলিশের মহাপরিদর্শককে এই বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে।
আজ বুধবার জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানিতে এ আদেশ দেন বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, সড়ক পরিবহন ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার, ঢাকা মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জের দুই ডেপুটি কমিশনার এবং পুলিশ সুপারকে ।
রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন । আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
এ বিষয়ে সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন গণমাধ্যমকে বলেন,শ্রমিকরা পরিবহন আইন সংশোধনের নামে গত ২৮ ও ২৯ অক্টোবর দেশে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট ডাকে।এ সময় অ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখায় দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনা এবং এ সময় তাদের অনেকে সাধারণ চালক বা শিক্ষার্থীদের মুখে পোড়া মোবিল লাগিয়ে দেয়। এ বিষয়গুলো বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ হলে তা হাইকোর্টের নজরে আনা হয়। এর পর আদালতের নির্দেশে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয় বুধবার।
তিনি আরও বলেন, এই রিটের শুনানিকালে আদালত বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে হরতাল বা ধর্মঘটের সময় আরেকজন ব্যক্তিকে চলাচলে বাধা দেওয়াসহ সাংবিধানিক অধিকার যেন খর্ব না হয় সে বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের নিশ্চিত করতে বলেছেন।